মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে বর্তমানে
ইসলামি আন্দোলন এক অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি। বিশ্বব্যাপি প্রতিষ্ঠিত ইসলামি আন্দোলনের
মধ্যে ভারত উপমহাদেশের জামায়াত এবং মধ্যপ্রাচ্যের ইখওয়ান তথা মুসলিম ব্রাদারহুড তার
ব্যপ্তির কারণে আমাদের নিকট সবচেয়ে বেশি পরিচিত। আর এ সকল ইসলামি আন্দোলনের এক অন্যতম
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ থেকে মাঝামাঝি
সময়ের মধ্যে জন্ম নেয়া এ আন্দোলনের যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল তা নিয়ে একবিংশ শতাব্দীর
প্রথমেই শুরু হয়েছে নানান মতবাদ ও মতপার্থক্যের। বিশ্বব্যাপি বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদরা
ব্যক্ত করে চলছেন তাদের মতামত যার অনেকগুলোই ট্রাডিশনাল ইসলামি আন্দোলনের প্রচলিত হাইপোথিসিসের
সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এমনি অনেক মতামত বা ওপিনিনিয়নের মধ্যে একটি অন্যতম হচ্ছে ‘ইসলামি
রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার কনসেপ্ট।
এ বিষয়ে বই লিখেছেন মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক
ইসলামিক ইউনিভার্সিটির (IIUM) প্রফেসর রশিদ আব্দুল মতিন (Political Science: An
Islamic Perspective এবং এর অনুবাদ করা হয়েছে বিআইআইটি থেকে- ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইসলামি
প্রেক্ষিত’ নামে)। লিখেছেন ইসলামি ধারার আধুনিক চিন্তাবিদ আহমেদ দাগুতোভলু যিনি বর্তমানে
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী । রাষ্ট্র বিষয়ক তাঁর এ বইটি হচ্ছে- Alternative
Paradigms: The Impact of Islamic and Western Weltanschauung on political theory
যা প্রকাশিত হয় ম্যারিল্যান্ড, ইউনিভার্শিটি অফ প্রেস থেকে ১৯৯৪ সালে। আর এ বিষয়ে গালফ
নিউজে সর্বশেষ এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম ইসলামি চিন্তাবিদ তারিক
রামাদান ‘Islamists’ Current Dilemma’ নামে (http://gulfnews.com/opinions/columnists/islamists-current-dilemma-1.970001)। এসব নিবন্ধের আলোকেই
সংক্ষেপে ইসলামি রাষ্ট্র বনাম সিভিল রাষ্ট্রঃ ইসলামি আন্দোলনের এক জন্য ট্রানজিশনাল
পিরিয়ড’ বিষয়ক সংক্ষিপ্ত আলোচনা এখানে তুলে ধরা হলো।
রশিদ আব্দুল মতিন তাঁর ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইসলামি প্রেক্ষিত’ বইয়ের (৯৫ নং পৃষ্ঠায়)
ইসলামি রাষ্ট্রের ধারণা অনুচ্ছেদে বলেন- ‘জাতীয় রাষ্ট্রের’ ধারণা, যার ইসলামি পরিভাষা
হচ্ছে ‘দাওলাহ’ তা ইউরোপে ‘সার্বভৌমত্ত্বের’ (‘দিয়াদাহ’) ধারণার মতই সাম্প্রতিক ধারণা
ও পরিভাষা। ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির সাথে জাতীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধারণাটি সম্পৃক্ত
এবং সার্বভৌমত্ত্বের ধারণাটি মূলত ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ডীন বডিন (১৫৩০-৯৬) কর্তৃক উদ্ভাবিত।
তাই এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক যে, এ পরিভাষাটি যেমন কুরানে ব্যবহৃত হয়নি তেমনি রাসূলুল্লাহ
সা. এর সময়েও প্রচলিত ছিলনা। প্রথম যুগের ফকিহগণ ‘খিলাফত’ বা ‘ইমামত’ শব্দদ্বয় রাজনৈতিক
ব্যবস্থা বুঝাতে ব্যবহার করেছেন।
‘দাওলাহ’ পরিভাষাটি হিজরি সপ্তম শতকের প্রথম দিকে বহুলভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে
এবং ক্ষমতাহীন খলিফার নামমাত্র আনুগত্যশীল মুসলিম রাজবংশ সমূহকে বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত
হতো। ‘খিলাফত’ শব্দের বিকল্প হিসাবে ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ পরিভাষাটি প্রচলন লাভ করতে আরো
আট শতাব্দী পেরিয়ে যায় (হামিদ এনায়েত-Modern Islamic Political Thought)। এই অন্তর্বর্তীকালীন
সময়ে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে খিলাফত ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটে। তবে
‘ইসলামি রাষ্ট্র’ পরিভাষাটি ভাষার একটি অপপ্রয়োগ এবং একে ‘ইসলামি রাজনীতি’ বা ‘ইসলামের
রাজনৈতিক ব্যবস্থা’ শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা সঙ্গত। যদিও রাষ্ট্র বা রাজনীতি শব্দদ্বয়
কুরানে ব্যবহৃত হয়নি, তবে এর অপরিহার্য যে উপাদানসমূহ একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠন করে,
তার সুস্পষ্ট উল্লেখ আল কুরানে রয়েছে।
রশিদ আব্দুল মতিন আরো বলেন, “রাষ্ট্রের পাশ্চাত্য মডেল মুসলমানদের নিকট গ্রহণযোগ্য
হতে পারেনা। যে কাঠামো ইসলাম অনুমোদন করে তা জনগোষ্ঠী বা ভূ-খন্ড দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়।
জনগোষ্ঠী বা ভূ-খন্ড নিশ্চিতভাবে প্রয়োজনীয় কিন্তু এগুলো বিশ্বব্যবস্থা গঠনের পথে কেবল
যান্ত্রিক প্রয়োজন মাত্র। ইসলাম শুধুমাত্র ভূ-খন্ডের অভিলাসি নয় বরং সমগ্র বিশ্বের
ভূ-খন্ডকে একমাত্র স্রষ্টার ঐশী ইচ্ছার বাস্তবায়ন ক্ষেত্র হিসাবে পরিণত করতে চায়। ইসলাম
হচ্ছে বিশ্বজনীন, তাই এক টুকরা ভূ-খন্ডের মধ্যে একে সীমাবদ্ধ করা যায় না। একই সাথে
ইসলামের বাণী কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা জাতিসত্ত্বার জন্য নয় বরং সমগ্র মানব সমাজের জন্য।
জাতি-রাষ্টের মত নয়, বরং ইসলামি রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমন এক মুক্ত সমাজ যার দুয়ার ইসলাম
গ্রহণে ইচ্ছুক সকল মানুষের জন্য উম্মুক্ত (পৃষ্ঠা-৯৪)।
তারিক রামাদানের মতে, বিংশ শতকে গড়ে উঠা ইসলামি আন্দোলনের ‘ইসলামি রাষ্ট্র’
গঠনের যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল তা মূলত ১৮৮৫ সালের বার্লিন কংগ্রেস এবং পরবর্তীতে ১৯২৪
সালের খিলাফাত আন্দোলনের ফলে মুসলিম বিশ্ব যে পশ্চিমা আগ্রাসনের স্বীকার হয়েছিল তা
থেকে আত্মরক্ষার এক কৌশল। পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবিলার
এক অন্যতম এবং একমাত্র উপায় হিসাবেই ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ গঠনের কনসেপ্ট নিয়ে ইসলামি আন্দোলন
তার সকল কর্মসূচী ও স্ট্রাটেজী গ্রহণ করে।
তারিক রামাদানের ভাষায়
“To the Islamists of the day,
the Islamic state comprised the threefold response — religious,
political and cultural -to the imposition of western models, and was understood
as a call to resistance to the plans of the colonialists who were, in turn,
seen through the prism of imperialism, and whose aims seemed crystal clear:
consolidating the political and economic dependence of the colonized countries,
enforcing secularization, fighting Islam (and its forces of resistance) and
traditional cultures in general.
তারিক রামাদানের মতে, আজকের দিনে মুসলমানরা যে সমস্যা মোকাবিলা
করছে তার আলোকে পশ্চিমা আগ্রাসন মোকাবিলার আদর্শিক পদ্ধতির পুনঃপরীক্ষণ প্রয়োজন। তাঁর
ভাষায়ঃ
The state, defined as ‘Islamic' was, according to
them, the only structure that could ensure the political independence,
religious identity (as opposed to secularization, implicitly directed against
Islam) and cultural specificity of the emerging Arab state entities. It was an
ideological response which must be assessed in the light of the prevailing
issues of the day.
১৮ই জুলাই, ২০১২ মালয়েশিয়ার পেনাং ইসলামি ফাঊন্ডেশন কর্তৃক এভারগ্রীন হোটেলে,
পেনাং-এ আয়োজিত “A Civil State- Ideas and Challenges” শীর্ষক আলোচনায় তারিক রামাদান
আরো বলেন, ইসলাম পন্থীদের ‘ইসলামি রাষ্ট্র’
গঠনের সকল স্ট্রাটেজী ও বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা পশ্চিমা দর্শন থেকে গৃহীত। তিনি কেন এবং
কিভাবে ইসলামি রাষ্ট্রের পরিবর্তে সিভিল স্টেট গঠনের জন্য ইসলামি আন্দোলনের কাজ করা
উচিত তা নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সিভিল স্টেট অবশ্যই ইরানের মত কোন ধর্মীয় (religious state) রাষ্ট্র
নয় বরং এটা ধর্মীয় রাষ্ট্রের বিপরীত। আবার সিভিল স্টেট মিলিটারী স্টেটেরও বিরোধী
(A Civil state is opposed to military state Religious state) ।
তারিক রামাদানের মতে ধর্মীয় রাষ্ট্র (সিনোনিমাস অফ ইসলামিক স্টেট) ও মিলিটারি
রাষ্ট্র দুটোই পশ্চিমাদ্ভূত এবং কার্য ও কৌশল সকল আঙ্গিকেই সিভিল স্টেট বেটার। মিলিটারি
স্টেট এবং রিলিজিয়াস স্টেট উভয় ইসলামের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিরোধী।
তিনি আরো বলেন, পশ্চিমাদের নিকট সিভিল স্টেট মাত্রই সেকিউলার স্টেট এবং সেকিউলার স্টেট
মাত্রই গণতান্ত্রিক স্টেট। কাজেই ইসলামপন্থী আন্দোলন কে ইসলামের নিজস্ব সংস্কৃতি ও
ঐতিহ্যের আলোকেই সিভিল স্টেট এর পলিসি গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামের মধ্যে নিজস্ব
এমন অনেক উপাদান রয়েছে যার মাধ্যমে সিভিল স্টেট এর সার্বজনীন পদ্ধতি বের করা সম্ভব।
শুধুমাত্র প্রজ্ঞা এবং আত্মবিশ্বাস (with confidence and knowledge) নিয়ে এগিয়ে আসলেই
এটা সম্ভব।
তাঁর মতে, মিলিটারি স্টেট এবং রিলিজিয়াস স্টেট উভয় ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ
ক্ষমতা থাকে এক দল লোকের হাতে বন্দী যা উপর থেকে জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় (টপ-ডাউন
এ্যাপ্রোচ)। অন্যদিকে সিভিল স্টেটে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া থাকে জনগণের হাতে এবং
এখানে যে কোন সিদ্ধান্ত নীচ থেকে গৃহীত হয়ে অপরের দিকে যায় (বটম-আপ এ্যাপ্রোচ)।
(http://www.youtube.com/watch?v=l0dftyATX4g ) ।
মিশর, তুরস্ক, মরক্কো, তিউনিসিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সে সব দেশের ইসলামি
আন্দোলন ‘ইসলামি রাষ্ট্রে’র পরিবর্তে ‘সিভিল স্টেট’ এর কথা বলছে। তাঁর ভাষায়, “Some Muslim scholars and leaders- like Shaikh Yousuf
Al Qaradawi or Tunisian leader Rashid Gannouchi- have readily accepted the
democratic principle. For them, it is not in contradiction with the idea of
Islam as a political project. Still, the Islamist leader of the Algerian Hamas
party, Mahfoud Nahnah, appears to have been the first no longer to speak of an
Islamic state but of a civil state.”
এক্ষেত্রে মুসলিম ব্রাদারহুডের তিউনিশিয়ান প্রধান রশিদ আল ঘানুশী, মিশরের আবুল
ফাতহ আব্দুল মুনেম, মরক্কোর আল আদল আল ইহসান, নাদিয়া ইয়াসিন সহ আরো অনেকেই এখন ইসলামি
রাষ্ট্রের পরিবর্তে সিভিল স্টেটের কথা বলছেন। তুরস্কের একে পার্টি তো সে মূলনীতি সামনে
রেখেই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তারিক রামাদানের এ কথার সত্যতা পাওয়া যায় ঘানুশীর এক সাক্ষাৎকারে।
ল্যালি ওয়েমাউথ, ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার এ্যাসোসিয়েট এডিটর, কে আরববিল্পবের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়া সাক্ষাৎকারে "So
you’re not trying to create an Islamic state with Islamic laws here?" প্রশ্নের উত্তরে তিউনিশিয়ান নেতা এবং আন নাহদার প্রধান রশিদ আল
ঘানুশী বলেনঃ
“Tunisia, under the
existing constitution ratified in 1959, is an independent state — Islam is its
religion, and Arabic is its language. This is enough for us. In a democracy, it
is parliament that makes the laws. We don’t want a theocracy on top of parliament.
Some people tried to add sharia to the new constitution, and we have
rejected these calls. People don’t agree on sharia, so we should leave it out”.
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে ঘানুশী আরো
বলেনঃ
“We could have written the constitution on
our own, but we didn’t do this because we wanted the constitution to be written
not just by Islamists but by everyone. After the elections, we chose to form a
coalition government not with other Islamists but with other secular parties
because we wanted to send a message that the country is for everyone- অর্থাৎ, আমরা
একা একা সংবিধান রচনা করতে পারতাম কিন্তু আমরা করিনি। কারণ আমরা চেয়েছিলাম সংবিধান
শুধু ইসলামপন্থীদের দ্বারা রচিত না হয়ে সকলের অংশগ্রহণে রচিত হোক। নির্বাচনের পর আমরা
শুধু ইসলামপন্থীদের সাথে নয় বরং সেক্যুলারসহ সকল দলের সাথে মিলে যৌথ সরকার গঠন করতে
চেয়েছিলাম কারণ আমরা এটা জনগণের এই বার্তা দিতে চেয়েছিলাম যে- ‘রাষ্ট্র সকলের’।”
বর্তমানে বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনকেও তার প্রিন্সিপল পর্যালোচনা করতে হবে
এবং সঠিক ও সময়োচিত পর্যালোচনার আলোকে সঠিক কর্মপন্থা গ্রহণ করতেই হবে। তাহলেই সম্ভব
হবে সকল প্রতিবন্ধকতার বাধা ডিঙিয়ে সঠিক লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলা। নতুবা ইসলামি আন্দোলনের
পথ চলা থমকে যাবে অযাচিত নানান বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় যা এই মুহুর্তে কম গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলন বর্তমানে এক চরম ক্রান্তিকাল
অতিক্রম করছে। মোকাবিলা করছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রচন্ড বিরোধীতা। এ পরিস্থিতি
উত্তরণে ইসলামি আন্দোলনের জন্য আসছে নানান পরামর্শ। ভাবা হচ্ছে নানান বিকল্প চিন্তার
। আর এ সকল স্ট্রাটেজি বা কর্মপন্থা গ্রহণের পূর্বেই ইসলামি আন্দোলন কে তার মূলনীতি
বা ফিলোসফি নির্ধারণ করতে হবে যার আলোকে সকল স্ট্রাটেজি গ্রহণ করা সম্ভব হবে। আর মূলনীতি
বা ফিলোসফির মূল কেন্দ্রে যে ইস্যুটি রয়েছে সেটি হলো- ইসলামি আন্দোলন কি চায়-
‘ইসলামি রাষ্ট্র’ নাকি ‘সিভিল রাষ্ট্র’?
এ মূলনীতির সঠিক পর্যালোচনা, তার অনুধাবন এবং সে আলোকে ‘টেইলর-মেইড’ সিদ্ধান্ত
গ্রহণের উপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের মূল ধারার (সর্ববৃহৎ) ইসলামি আন্দোলনের ভবিষ্যত।