জ্ঞানার্জনের বিষয় সমূহঃ
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার
জন্য আমাদের অনেক কাজ করতে হয়, জানতে হয় অনেক কিছু। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো হচ্ছে - সমাজের মানুষের
সাথে আদান-প্রদান, পড়াশুনার ধরণ ও পদ্ধতি, পোশাক-আশাকের ধরণ, বিয়ে শাদি, পরিবার গঠন,
সামাজিক আচার আচরণ, ধর্মীয় রীতি-নীতি, সময়ের ব্যবহার, চিত্ত-বিনোদন, অবসর সময়ের ব্যবহার,
জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, ভাষাজ্ঞান, পিতামাতার প্রতি ব্যবহার, জীবন দর্শন, গর্ভধারণ
ও বাচ্চা লালন পালন পদ্ধতি, সোস্যাল ভ্যালুজ, মোরালিটি বা ইথিক্স ইত্যাদি।
জ্ঞানার্জন প্রক্রিয়াঃ
আমদের চারপাশের যে জ্ঞান আমরা অর্জন করি তা মূলত দুই ভাবে
হয়ে থাকেঃ
ক. শুনে (By hearing)
খ. দেখে (By seeing/ observing/ watching)
শুনা (Hearing):
শুনার মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করে থাকি তা মূলত কিছু কথা
যা বাক্য বা শব্দ সমষ্টি অথবা, আরো একটু ক্ষুদ্র ইউনিটে বললে, ধ্বনি সমষ্টি (speech
or collection of words or, more minutely, collection of Sounds).
দেখা (seeing/
observing/ watching):
দেখার মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করি তা আবার দু’ ধরণের হতে
পারে-
১. পড়ার মাধ্যমে ও
২. অভিনয় দেখে
পড়ার কাজটি হয়ে থাকে
মূলত বই পড়ার মাধ্যমে এবং অভিনয় দেখার কাজটি হয়ে থাকে কাউকে কোন কাজ বাস্তবায়ন করতে
দেখে অথবা নাটক, সিনেমা দেখার মাধ্যমে । তাহলে দেখা যায় যে, জ্ঞান অর্জনের সকল মাধ্যমই
সম্পন্ন হয় শুধুমাত্র দেখে অথবা শুধুমাত্র শুনে অথবা উভয়ের সমন্বয়ে।
বর্তমানে জ্ঞান অর্জনের সহায়ক পদ্ধতি সমুহ এবং এগুলোর বিশ্লেষণঃ
মৌলিক জ্ঞানার্জনের
নানা রকম পদ্ধতি রয়েছে। এই পন্থাসমূহ কখনোই স্থির নয় বরং প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। প্রযুক্তির
মাধ্যমে পরিবেশের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ যতই বাড়ছে এই পথ ও পন্থাসমূহ ততই বিস্তৃত হচ্ছে। এই পথ ও পন্থাসমূহ বর্তমানে প্রযুক্তি (Technology)
নামেই পরিচিত। আর এ সব Technology কেই এক সাথে বলা হচ্ছে Mass Media বা গণ মাধ্যম।
এসব ম্যাস মিডিয়ার রয়েছে অনেকগুলো ফ্রন্ট। উল্লেখ যোগ্য ফ্রন্টগুলোর বিশ্লেষণ নিম্নে
তুলে ধরা হলোঃ
বিশ্লেষণঃ
১. গান= সুর করে বলা কথা যা কোন
বার্তা বহন করে ;
২. মিউজিক= বাজনা + গান = বাজনা + সুর + কথা;
৩. পেইন্টিং= ছবির মাধ্যমে কথা শিখানো= ছবি + কথা (কার্টুন);
৪. সাহিত্য= গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া, ব্যাঙ্গাত্ম্যক
কবিতা;
গল্প=
ঘটনাকে সাজানো হয় কথা দ্বারা;
কবিতা= ঘটনাকে সাজানো হয় ছন্দবদ্ধ কথা দ্বারা;
নাটক=
ঘটনাকে সাজানো হয় নাটকীয় কথা দ্বারা;
উপন্যাস=
ঘটনাকে সাজানো হয় কথা দ্বারা কিন্তু বৃহৎ পরিসরে;
৫. অভিনয়= কথাকে চরিত্রের
মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা/ উপস্থাপন;
৬. বক্তব্য= অভিনয় + কথা;
৭. সিনেমা= কথা + অভিনয়+
বক্তব্য;
৮. বিবৃতি= লিখিত মন্তব্য বা কথা;
৯. টিসি /টিএস= কথা ও বক্তব্যের
মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া ;
১০. মিছিল= কথা + অভিনয়
(পুরানো প্রদর্শনী);
১১. মৌন মিছিল= শুধুই অভিনয়ের মাধ্যমে বার্তা বা কথা বহন করা;
১২. গলাবাজি বক্তব্য= জ্ঞানহীন, আবেদনহীন, সাবস্টান্ডার্ড,
ভুল কথা ভুল /সাবস্টান্ডার্ডভাবে উপস্থাপন করা;
১৩. জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য= দক্ষ লোক দ্বারা
সঠিক কথা আধুনিক ভাবে উপস্থাপন করা/ পাওয়ার-পয়েন্ট
প্রেজেন্টেশন/ আপডেটেড ইনফরমেশন/ বৈশ্বিক ও সার্বজনীন কথা
প্রকাশ করা;
১৪. শিক্ষাঙ্গন= বই + লিখিত কথা
+ নানান উপায়;
১৫. লাইব্রেরী =বই এর সংগ্রহশালা যা মূলত কথামালার সমষ্টি;
১৬. খেলাধুলা= অভিনয়ের মাধ্যমে বিনোদন যা কোন কথা বা বার্তা বহন করে;
১৭. সংবাদপত্র=লিখিত কথা;
১৮. সাহিত্য=বই এ লিখিত কথা;
১৯. পাঠ্যপুস্তক=বই এ লিখিত কথা;
এবং
২০. সেমিনার/ কনফারেন্স= কথা ভিত্তিক
বা বিষয়ভিত্তিক আলোচনা।
উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে
দেখা যায় যে, ম্যাস মিডিয়ার যত অনুষঙ্গই আছে সবার মৌলিক বিষয় ‘এক ও অভিন্ন’। আর সেটি হলো কোন একটি বিশেষ ম্যাসেজ বা বার্তা বা কথা মানুষের নিকট জ্ঞান আকারে
পৌঁছানো।
কুরআনের বাণী প্রচারে
আল্লাহর রাসূল (সঃ):
রাসুল সা. কুরআনের নাযিলকৃত বিধান সমূহ কে মানুষের হৃদয়ে
গেঁথে দেয়ার জন্য নানান উপায় অবলম্বন করেছেন। রাসূলের অনুসৃত উপায় সমূহ এত চমৎকার ও
সময়োপযোগী ছিল যে, ঐ সময়ে অন্যরা তা কল্পনাও করতে পারেনি। এ সব উপায় ও পদ্ধতি ছিল দৃষ্টি
আকর্ষণী, মনোমুগ্ধকর ও চিত্তহারী। যেমন- রাতের বেলা কুরআন আবৃত্তি/ তেলাওয়াত, বন্দী
শত্রুর মাধ্যমে সাহাবীদের শিক্ষাদান, মহিলাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি দান, পাহাড়ের
উপর ঊঠে নবুয়্যওতের ঘোষণা, তিন বছর পর্যন্ত অবরুদ্ধ থেকেও দ্বীনের দাওয়াত না ছেড়ে দেওয়া।
এসব দাওয়াতি পদ্ধতি ছিল যেমন সাহাবীদের জন্য প্রশিক্ষণোপযোগী, শিক্ষামূলক তেমনি সাধারণ
মানুষের জন্য আকর্ষণীয়।
কুরআন ও হাদীস হচ্ছে
আমাদের জন্য অনুস্মরণীয় দিক নির্দেশনা যা মূলত কথামালা (String of speeches). এই কথাগুলো
রাসূল সা. তার ব্যক্তিক জীবনে পরিপালনের মাধ্যমে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর রাসূল
সা. এই কথা বা আচার-আচরনগুলো সাহাবীদেরকে শিক্ষা দিতে গিয়ে যে সকল পদ্ধতির অবলম্বন
করেছেন সেগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান ধারাগুলোর বিশ্লেষণ হচ্ছেঃ
১. বক্তৃতা (একক কিংবা সামষ্টিক)- কুরানের কথা অভিনয় সহকারে বলা;
২. আলোচনা (একক কিংবা সামষ্টিক)- অভিনয়ের মাধ্যমে কথা বলা (ইন্ডোর/আউটডোর);
৩. প্রশ্নোত্তর (একক কিংবা সামষ্টিক)-বিশেষ উপস্থাপনায় বলা
কথা;
৪. নীরব সমর্থন (সাহাবীদের কাজ)- জ্ঞান/কথা শিক্ষাদানের অন্য এক মাধ্যম (অভিনয়সহ);
৫. শাস্তি দান- আইনের বাস্তবায়নের মাধ্যমে জ্ঞান/কথা শিক্ষাদানের অন্য এক মাধ্যম (অভিনয়সহ);
৬. যুদ্ধ-বিগ্রহ- এক ধরণের অভিনয় + শিক্ষনীয় কথা/বার্তা;
৭. শত্রুকে ক্ষমা- অভিনয় + কথা/বার্তা;
৮. চিঠি লিখে (বিভিন্ন শাসকদের নিকট)- বিশেষ কথা/বার্তা পাঠানো;
৯. রক্ত চক্ষু প্রদর্শন করে- কোন কথা না বলেই জ্ঞান/কথা শিক্ষাদান;
১০. কথা না বলে রাগ করে চুপ থাকা (আয়েশা রা. এর ঘটনার পর)-
কথাহীন জ্ঞান/কথা দান;
১১. ধৃত বন্দীর মাধ্যমে শিক্ষাদান- বিশেষ কায়দায় কথা/ জ্ঞান শিক্ষাদান;
১২. শিক্ষক পাঠিয়ে শিক্ষাদান-বিশেষ কায়দায় কথা/ জ্ঞান শিক্ষাদান;
১৩. মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষাদান- বিশেষ কায়দায় কথা/ জ্ঞান শিক্ষাদান;
১৪. মহিলাদের জন্য আলাদা আসর (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে)- বিশেষ
কায়দায় কথা/ জ্ঞান শিক্ষাদান;
১৫. নিজস্ব আমল (বিবাহিত জীবনে স্ত্রীদের সাথে কৃত আচরণ)-
কথাহীন বা মুকাভিনয়ের মাধ্যমে জ্ঞান/কথা শিক্ষা দান
১৬. গুপ্তচর নিয়োগ (বর্তমানে ড্রোন বা স্যাটেলাইট)-
১৭. সামষ্টিক প্রদর্শনী (নামায, রোজা, দু ঈদের নামায)- কথা/ জ্ঞানের বিশেষ আয়োজন;
১৮. মসজিদে আবৃত্তি- কথা/জ্ঞান
কে সুর করে উপস্থাপনা;
১৯. হজ্জ্বের সময় দাওয়াত – ইসলামের মর্মবাণী/কথা প্রচারের কৌশল;
সুতরাং দেখা যায় যে, আল কুরানের জ্ঞান/ কথা শিক্ষা দেওয়া ছিল রাসূলের মূল উদ্দেশ্য এবং তাঁর গৃহীত সকল
পদ্ধতিই ছিল একেক টি মাধ্যম/ পন্থা/ উপায়, যা বর্তমানে Technology বা Mass-Media
front হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
মাধ্যম নয়ই বরং কথাই গুরুত্বপূর্ণঃ
আমরা যে জ্ঞান অর্জন
করি তা কিন্তু কিছু কথা বা কথা মালার সমষ্টি। তবে যেহেতু সেই কথাগুলোকে প্রচার/ প্রসারের
নানাবিধ অনুষঙ্গ রয়েছে - সেহেতু আমরা উপযুক্ত যে কোনটিকে গ্রহণ করতে পারি। কথা যদি
ভালো হয়, তবে তার ফলাফল ভাল হবে। আর কথা যদি খারাপ হয় তবে তার ফলাফল খারাপ হবে। হয়তো
দীর্ঘ মেয়াদে নয়তো স্বল্প মেয়াদে। কথার উপরই নির্ভর করে তার ফলাফল। কথার উপরই নির্ভর
করবে তার নিন্দিত হওয়া বা নন্দিত হওয়া।
একটি পাত্রে পানি থাকলে
এবং তা পান করলে তাতে জীবন রক্ষা পায় কিন্তু তাতে পানির পরিবর্তে বিষ থাকলে কিন্তু
জীবন হানি ঘটে। এতে পাত্রের কোন ক্ষমতা নেই- পানি কে বিষে অথবা বিষ কে পানিতে রুপান্তর
করার। বিষয়টি অনেকটা প্রাণীদেহের জীন বা ডিএনএ (Gene / DNA) এর মতো যা জীব দেহের মূল
বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
গান, নাটক, সিনেমা,
মিউজিক, আর্টশিল্প, চারু ও কারু কলা ইত্যাকার বিষয়গুলো একটু মাইনিউটলি দেখলে বুঝা যায়
যে, এখানে দুটি অংশ রয়েছেঃ
ক. কথাংশ /জ্ঞানাংশ
(মূল অংশ যা গ্লাস বা জিনের সাথে তুলনীয়)
খ. কথাহীন অংশ (যা মাধ্যমের
কাজ করে/ সুর, শব্দ, অভিনয় ও বাজনা)
গান, নাটক, সিনেমা, মিউজিক, শিল্পকলা।
|
কথা
|
+
|
কথাহীন অংশ (যা মাধ্যমের কাজ করে/ সুর, শব্দ ও অভিনয়, বাজনা,
মিউজিক)
|
প্রভাবশালী
|
প্রভাবহীন
|
||
হালাল- ভালো হলে হালাল
হারাম- মন্দ হলে হারাম
|
এখানে হালাল- হারামের প্রশ্ন অবান্তর।
|
||
ফাইনাল প্রভাব ভালো কিংবা মন্দ
|
প্রভাব নিরপেক্ষ (আকার, আকৃতি ও আয়তন যাই হোক না কেন)
|
গান, নাটক, মিউজিক, চারুশিল্প, কোন অব্জেক্টিভ নয় বরং মাধ্যম
(টেকনোলজি):
উপরোক্ত বিশ্লেষণ হতে
দেখা যায় যে, গান, নাটক, মিউজিক, চারু ও কারুকলা ইত্যাদি কোন গোল বা উদ্দেশ্য বা অবজেক্টিভ
নয়, বরং এগুলো অন্য কোন গোল বা উদ্দেশ্য বা অবজেক্টিভ পূরণের এক শক্তিশালী ও জনপ্রিয়
মাধ্যম। তাই গোল বা উদ্দেশ্য বা অবজেক্টিভহীন থেকে শুধুমাত্র মাধ্যমের কোন ক্ষমতা নেই।
তাই প্রভাবহীন ‘মাধ্যম’ নয় বরং প্রভাবশালী বার্তা বা ম্যাসেজ বহনকারী ‘কথা’ই মূল। যেমন---
গান= কথা + সুর;
মিউজিক= কথা + সুর + বাজনা;
পেইণ্টিং= কোন ঘটনা/ কথা/ বার্তা
কে সহজে বোঝানোর জন্য ছবির সাহায্য নেয়া;
চারু শিল্প= (”)
নাটক= কথা + অভিনয় + সুর
+ বাজনা; এবং
ফ্যাশন শো= কথা + অভিনয় (যেখানে পোশাকের প্রাধান্যসহ চমৎকার উপস্থাপনা
থাকে)।
বাজনা বা মিউজিক কি হালাল না হারাম? -এ প্রশ্নটিই প্রশ্নবিদ্ধ
(???):
এখন কেউ যদি প্রশ্ন
করে, মিউজিক হারাম না হালাল?
বিশ্লেষণানুযায়ী, প্রথমত-
এ প্রশ্নটিই ভুল। কারণ পানি ধারণকারী পাত্র বা গ্লাসের যেমন কোন হালাল হারাম নেই, তেমনি
শুধুমাত্র বাজনা বা মিউজিকের কোন হালাল-হারাম নেই। মিউজিকের হালাল হারাম নির্ভর করবে
এটি কোন কথা বা কাজের সাথে ব্যবহার করা হবে তার উপর এবং মানব/ ব্যক্তিক জীবনে এর যে চূড়ান্ত বা ফাইন্যাল আউটপুট তার প্রভাবের উপর।
যদি মানবতাবাদী, মানবকল্যাণকামী
হামদ-নাত কিংবা কথা, মৌলনীতি বা কাজের সাথে তা ব্যবহার করা হয় যার চূড়ান্ত আউটপুট পজিটিভ,
তবে আবশ্যকীয় ভাবে তা হারাম হবার কোন সূযোগ নেই।
কিন্তু যদি অশ্লীল,
অশালীন ও হারাম কথা, মৌলনীতি বা কাজের জন্য তা ব্যবহার করা হয় যার চূড়ান্ত আউটপুট নেগেটিভ
তবে এর ব্যবহারকে হালাল বা বৈধতা দেবারও কোন সুযোগ নেই।
আর এ বিষয়টি অনেকটা
শব্দ দূষণ মাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যে শব্দ ছাড়া আমরা চলতে পারিনা, যা ছাড়া আমরা
মনের ভাব প্রকাশ করতে পারিনা, যে শব্দ ছাড়া সব কিছুই অর্থহীন; সহ্য সীমার বাইরে সে
শব্দই কিন্তু আবার মানব জীবনের জন্য ক্ষতিকর এবং আইনত তার ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
তাই বাজনা বা মিউজিক
হালাল কি হারাম এ প্রশ্নে আসুন আমরা একটু সচেতন হই। এর অকল্যাণকর ও ক্ষতিকর দিক বর্জন
করতে গিয়ে আমরা যেন এর প্রয়োজনীয়, কল্যাণকর এবং মানবতাবাদী ব্যবহারটুকু নিঃশেষ করে
না ফেলি। এর সসীম নেগেটিভ ফল কে প্রত্যাখ্যান করতে গিয়ে যেন অসীম পজিটিভ কে হারিয়ে
না দেই !
ইসলামে হালাল-হারামের
মূল বিধানও কিন্তু এটাই। যে সকল বিষয়ে সরাসরি কুরানে হারাম ঘোষিত হয় নি, সে বিষয়ে ইসলামের
দৃষ্টিভঙ্গিও কিন্তু তাই (সূত্রঃ ইসলামে হালাল-হারামের বিধান, ইউসুফ আল কারযাভী)।
(কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ মো
ত্বোহা সেলিম, ঢাবি ও (ড.) ফাতেমা মাহফুজ কে তার সুচিন্তিত পরামর্শের জন্য আন্তরিক
ধন্যবাদ। মহান আল্লাহ তাদের কে উত্তম পুরস্কার দান করুন)
.jpg)